nulibrary

সোভিয়েত ইউনিয়নের নতুন অর্থনৈতিক নীতি-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।

Reading Time: 1 minute

ভূমিকা : লেনিনের নব অর্থনৈতিক পরিকল্পনার মাধ্যমে পুঁজিপতিদের বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা করা হয়। সেই সাথে দেশের অর্থ ব‍্যবস্থাকে এর মাধ্যমে সুদৃঢ় করা হয়। লেনিনের এ নীতি প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে প্রতিবিপ্লবী সক্ষম হয় পুঁজির বিকাশ ঘটাতে। ফলশ্রুতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে যায় প্রতি বিপ্লব। তাই বলা যায়, নানামুখী সমস্যা সমাধানের প্রকাশ ছিল লেনিনের এই নব অর্থনীতি পরিকল্পনা।

নতুন অর্থনৈতিক নীতি বা NEP এর পটভূমি/কারণ : নিয়ে নতুন অর্থনৈতিক নীতির পটভূমি/কারণ আলোচনা করা হলো :

১. সামাজিক কারণ/অবস্থা : গ্রামের বিত্তশালী কৃষক বা কুলাকদের থেকে সরকার বাধ্যতামূলক খাদ্যশস্য সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালায় যুদ্ধকালীন সাম্যবাদ সময়ে। কিন্তু তার দিতে রাজি | ব ছিল না। এ কারণে গ্রামে সেনাবাহিনী প্রেরণ করে সরকার। স মূলত সরকারের উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য ছিল দুটি। (ক) শিল্প শ্রমিকদের খাদ্যদ্রব্যের যোগান দেওয়া এবং(খ) কুলাকদের আধিপত্য গ্রামাঞ্চলে খর্ব করা।সাধারণ কৃষকরা ও মধ্যবিত্তরা একে সুনজরে দেখেনি এ বিষয়ে অসচেতনতার কারণে। যার কারণে কুলাকদের সাথে এক সময় সেনাবাহিনীর দ্বন্দ্বের সূচনা হয় খাদ্যশস্য সংগ্রহ করতে ফল গেলে। সমাজে এক বিরাট বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয় কৃষকদের এরূপ বিরূপ অবস্থার কারণে।

২. অর্থনৈতিক কারণ বা পরিস্থিতি : নৈরাজ্য, হতাশা, প্রশা অরাজকতা এবং বিশৃঙ্খলা প্রভৃতি রাশিয়ার প্রায় সর্বক্ষেত্রে Ves বিরাজমান ছিল নতুন অর্থনৈতিক নীতি গ্রহণের পূর্বে। ব্যবসা- পরিি বাণিজ্য, মুদ্রা, কৃষ্টি, শিল্প ও ব্যাংক ব্যবস্থায় যুদ্ধকালীন স্থানী সাম্যবাদের আওতায় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় তা প্রায় / অস ব্যর্থতায় পরিণত হয়। নিম্নে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিরাজমান সঙ্গে পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা তুলে ধরা হলো :

(ক) কৃষি পরিস্থিতি : কৃষকরা বাধ্যতামূলকভাবে সরকারকে খাদ্যশস্য দিতে বাধ্য হতো যুদ্ধকালীন সাম্যবাদ নীতির কারণে। কৃষকদের প্রতিক্রিয়া এতে মারাত্মক হয়। কৃষকরা তাদের আর্থিক স্বচ্ছলতা বাড়ানোর জন্য ক্ষেত্রের উদ্বৃত্ত ফসল বাজারে বিক্রি করতে চাচ্ছিল। কিন্তু কৃষকদের উপর জোরজবরদস্তি করা হয় ফসল আদায়ের জন্য। জোরপূর্বক কৃষকদের কাছ থেকে ফসল আদায় করা হয়। আর বাকি জমি অনাবাদি রাখা হয়। এসব কারণে অনেকে গৃহপালিত পশু, শস্যের গোলা লুকিয়ে রেখে ও কৃষি ব্যবস্থার ক্ষতিসাধনের চেষ্টা করে। অনেকে আবার অস্বীকৃতি জানায় চাষাবাদ করতে । রাশিয়ার এ সময় কৃষক ছিল তিন শ্রেণির। কুলাক বা ধনী কৃষক, মাঝারি কৃষক ও সাধারণ গরিব কৃষক। এ তিন শ্রেণির সকল কৃষকই একত্রে জমি আবাদে অসহযোগিতা, বাজারজাতকরণে নিষেধাজ্ঞা এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহ না দেখানোর পক্ষে ছিল। যার পরিণামে রাশিয়ায় চরম খাদ্য সংকট দেখা দেয় ১৯২০-২১ সালে। বলশেভিক সরকারের ভূমিনীতি পরিবর্তন করা দরকার বলে এই পরিস্থিতিতে লেনিন সেটা উপলব্ধি করেন ।

(খ) মুদ্রাস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির দুষ্প্রাপ্যতা : দেশীর যেসব সংস্থাসমূহ যুদ্ধকালীন সাম্যবাদের আওতায় ছিল এবং তা কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় সমস্যা হতে থাকে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির বহুবিধ অভাব লক্ষ করা হয় সেই সাথে উৎপাদনের ক্রমাবনতি সবক্ষেত্রে দেখা যায়। কারণ উৎপাদন বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টিতে তাদের গৃহীত নীতিসমূহ ব্যর্থ হয়। অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়ে যা মেটানো। ফলে অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতির সৃষ্টি হয়।

(গ) শিল্প পরিস্থিতি : সোভিয়েত সরকারের শিল্প উৎপাদনে বিপর্যয় ডেকে আনে যুদ্ধকালীন সাম্যবাদের ফলে যে শিল্পনীতি গৃহীত হয়। সরকার এ সময় কেন্দ্রীভূত করে শিল্প প্রশাসন ফলশ্রুতিতে সৃষ্টি হয় শিল্পক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার, বৃদ্ধি পায় শ্রমিক অসন্তোষ। যার পরিপ্রেক্ষিতে শ্রমিক ও ধর্মঘটের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং শ্রমিকের অনুপস্থিতি শিল্পকারখানায় বৃদ্ধি পায় । প্রশাসনের জন্য Glavki এবং সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক পরিষদ Vesenkha গঠিত হয় দৃষ্টান্তস্বরূপ। তাদের পূর্বজ্ঞান ছিল না স্থানীয় পরিস্থিতি সম্পর্কে। যার কারণে তাদের সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয় স্থানীয় সংস্থাসমূহের। এছাড়া Vesenkha এর কার্যাবলি ও নীতি অসঙ্গতিপূর্ণ ছিল সরবরাহ শিল্প ও পরিবহন দপ্তরের কার্যাবলির সঙ্গে। ১৯১৩ সালের উৎপাদনের মাত্র ২০% ছিল ১৯২১ সালের শিল্প উৎপাদন। এর অর্থ, হ্রাস পায় ৮০% উৎপাদন।

(ঘ) ব্যবসা-বাণিজ্য ও পরিবহণ পরিস্থিতি : মুক্তবাজার ব্যবস্থার মুক্ত বিনিময় প্রথার বিলোপ সাধন করা হয় অর্থনীতিকে সমাজতন্ত্রীকরণের সাথে সাথে। একচেটিয়া রাষ্ট্রীয় অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হয় ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণে আনার মাধ্যমে। রাষ্ট্রের কতিপয় সংস্থার উপর ভার দেয়া হয় দ্রব্যসামগ্রী বণ্টনের। ফলশ্রুতিতে ধ্বসে যায় পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় প্রচলিত ব্যবসা-বাণিজ্যের সরবরাহ। কিন্তু এদিকে গ্রামের মধ্যে কৃষি ও শিল্পজাত দ্রব্যের সুষ্ঠু বণ্টন অসম্ভব হয়ে পড়ে এবং দ্রব্যসামগ্রী বণ্টনে নিয়োজিত সংস্থাসমূহের সাংগঠনিক দুর্বলতা ও অদক্ষতার কারণে ।

তাছাড়া অত্যন্ত নাজুক হয়ে পড়ে পরিবহণ ব্যবস্থা। কাঁচামাল পরিবহণে ও খাদ্য পরিবহণে সংকট সৃষ্টি হয় বেল ইঞ্জিনের এবং মালগাড়ির ওয়ানগনের অভাবের ফলে ।

৩. রাজনৈতিক কারণ বা পরিস্থিতি : রাশিয়ায় এক ভয়াবহ রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয় বলশেভিক বিপ্লবের পর। যারা বিপ্লবের বিরুদ্ধবাদী ছিল বিশেষত কুলাক কৃষক শ্রেণি তারা বিপ্লবের বিরোধিতা করতে থাকে সমাজের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা, উৎপাদক ধ্বংস ও নানাবিধ উপায়ের মাধ্যমে। অপরদিকে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয় হতাশা ও শিল্পক্ষেত্রে অরাজকতার ফলে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরে একই সময়ে গৃহযুদ্ধের সৃষ্টি হয় বাইরের কিছু রাষ্ট্র যেমন ব্রিটেন ও ফ্রান্সের হস্তক্ষেপের জন্য। সরকারকে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সন্দিহান করে তোলার পেছনে একদিকে বিপ্লবের বিরুদ্ধবাদী ও প্রতিবিপ্লবী শক্তির বিরুদ্ধাচরণ এবং অপরদিকে বৈদেশিক শক্তির হস্তক্ষেপ কাজ করে। এ কারণে সমাজতন্ত্রকে টিকিয়ে রাখতে সরকার গ্রহণ করে নতুন ব্যবস্থা ।
নতুন অর্থনৈতিক নীতি বা NEP : লেনিন ১৯২১ সালে তার বিখ্যাত নতুন অর্থনৈতিক নীতি বা New Economic Policy প্রবর্তন করেন উপরিউক্ত অবস্থা মোকাবিলার জন্য এবং দৃঢ়ভাবে সমাজতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার উদ্দেশ্যে। প্রাগমেটিক সাম্যবাদ বা প্রয়োজনভিত্তিক সাম্যবাদ হিসেবে এই নীতিকে অভিহিত করা হয়। মার্কসবাদকে হুবহু প্রয়োগ করে সাম্যবাদ নীতি প্রয়োজন অনুযায়ী প্রয়োগ করাই এর অর্থ ছিল। নিচে সোভিয়েত সরকারের গৃহীত নীতিগুলো দেয়া হলো :

১. গৃহীত নতুন নীতি অনুসারে বাধ্যতামূলকভাবে উদ্বৃত্ত খাদ্যশস্য সংগ্রহ বন্ধ করে সরকারি (Tax) হিসেবে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাদ্যশস্য সরকারকে প্রদান করার ডিক্রি জারি করা হয় । যার নাম খাদ্য কর ।
২. খোলা বাজারে বিক্রির অনুমতি প্রদান করা হয় কর হিসেবে খাদ্যশস্য প্রদানের পর তার উদ্বৃত্ত কৃষিজাত পণ্য সামগ্রী
৩. মধ্যবৃত্ত ও বিত্তশালী কৃষকদের (কুলাক) ওপর বেশি করে করে আরোপ করা হয় গরিব কৃষকদের কর মওকুফ করে ।
৪. ফিরিয়ে দেয়া হয়, ক্ষুদ্র জমির মালিক ও ব্যবসায়ীদের সম্পত্তি। বলা হয় তারা কাউকে শোষণা করে না।
৫. খাদ্যের মূল্য যাতে না বাড়ে তার ব্যবস্থা করা হয়। ৬. শিল্পকারখানা স্থাপনের নীতি গৃহীত হয় বিদেশ থেকে মূলধন এনে ।
৭. সরকারের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করা হয় শিল্পকারখানার উপর। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শিল্পের মালিকানা পুনঃপ্রবর্তন করা হয় ।
৮. নেপম্যান নামে পরিচিত ব্যবসায়ী গোষ্ঠীকে নতুন নীতিতে বং তাদের হারানো অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার মাধ্যমে ব্যক্তিগত ব্যবসা-বাণিজ্যে তাদের তৎপরতা বাড়ানো হয় ।
৯. পুনরায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্থাপন করা হয় রাশিয়ায়। ১৯২১ সালে এই ব্যাংক প্রতিষ্ঠার কথা থাকলেও ব্যাংকটি ১৯২৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জীবনবিমাও চালু করা হয় ১৯২৪ সালে।
১০. স্বাধীনভাবে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয় উৎপাদন ও 1 বণ্টনের বিভিন্ন স্তরের সমরায় সমিতিগুলোকে ।
১১. অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য বহুলাংশে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের হাতে ছেড়ে দেয়া হয় বৈদেশিক বাণিজ্য রাষ্ট্রের একটি অধিকার রেখে।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জিত হয় যে সকল ব্যবস্থা নতুন অর্থনৈতিক নীতির অধীনে নেয়া হয় তার ফলে। পিছনের সব সংকট কাটিয়ে ওঠার সুযোগ খুঁজে পায় রাশিয়া। অবশেষে বলা যায়, মহামতি লেনিনের মহাপ্রতিভা ও বিজ্ঞানসম্মত দূরদর্শিতা পরিচায়ক ছিল। বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবে সাফল্যের জন্য নতুন অর্থনৈতিক নীতি ।
নতুন অর্থনৈতিক নীতির ফলাফল : রাশিয়ার সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক জীবনের বড় ধরনের পরিবর্তনের সূচনা হয় ১৯২৫ সালের দিকে লেনিনের নতুন অর্থনৈতিক নীতির প্রভাবে। কৃষি ও শিল্পের উৎপাদন ১৯১৩ সালের উৎপাদন পর্যায়ে পৌঁছে ১৯২৭-২৮ সাল নাগাদ।

বাজারে কৃষকরা তাদের উদ্বৃত্ত পণ্য বিক্রি করে শিল্পজাত পণ্য ক্রয়ের মাধ্যমে একদিকে শিল্পের উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে বাণিজ্যিক যোগসূত্র স্থাপিত হয় গ্রাম ও শহরের মধ্যে। আরও জোরদার হয় শ্রমিক আর কৃষকের মধ্যে মৈত্রী জোট। তাছাড়া রাশিয়া আরো উন্নতি লাভ করে জল পরিবহণ, রেলপথ ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও।এই নীতির সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সুদৃঢ়করণের পথ প্রশস্ত করেছিল রাজনৈতিক দিক থেকে। পরবর্তীকালে সম্পূর্ণ সাফল্য লাভ করেছিল এ উদ্দেশ্য। নতুন অর্থনৈতিক নীতি পরিবর্তনের নীতি সূচনা করেছিল সামাজিক ক্ষেত্রেও। ক্ষুদ্র কৃষকদের ভূমির হয় বিত্তশালী কৃষকে উপর বাড়িয়ে দেয়া হয় ফসল উৎপাদন। যার ফলে তারা পরিণত কুলাকরা ক্রমে ধ্বংস হয়ে যায় গ্রাম অঞ্চলের। একতা স্থাপিত হয় ক্ষুদ্র কৃষক, শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের মধ্যে। এছাড়া ক্ষমতার পালাবদলের প্রক্রিয়া শুরু হয় সামাজিক ক্ষেত্রেও।

এছাড়া পুঁজিপতি ও ভূস্বামীদের নতুন অর্থনৈতিক নীতির ফলে সুযোগ-সুবিধা দেয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল এ সকল প্রতিবিপ্লবী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে সাময়িককালের জন্য বিপ্লবের বিরুদ্ধাচরণ থেকে দূরে রাখা। তাদেরকে পরবর্তী সময়ে শ্রমিক ও কৃষকদের একত্র করে চূড়ান্তভাবে নির্মূল করা হয় । পররাষ্ট্রনীতিতে ও প্রতিফলিত হয় এই নীতির প্রভাব। রাশিয়ার কূটনৈতিক বিচ্ছিন্নতাবাদের অবসান ঘটে নতুন অর্থনৈতিক নীতির কারণে। রাশিয়াকে ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালিসহ ইউরোপের অনেক পুঁজিবাদী দেশ কূটনৈতিক স্বীকৃতি দান করে ১৯২৪ সালের দিকে। রাশিয়ায় পুঁজি বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসে ব্রিটেনসহ অনেক দেশ ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, মহামতি লেনিনের মহাপ্রতিভা এবং বিজ্ঞানসম্মত দূরদর্শিতার পরিচায়ক ছিল বিপ্লব পরবর্তী রাশিয়ার সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের সাফল্যের জন্য নতুন অর্থনৈতিক নীতি। রাশিয়ার সমাজব্যবস্থাকে ব্যাপক উন্নতি সাধন হয় এই নীতির ফলে। নতুন অর্থনৈতিক নীতির গুরুত্ব তাই সমাজতান্ত্রিক ক্ষেত্রে অপরিসীম ।

The National University of Bangladesh's all-books and notice portal, nulibrary.com, offers all different sorts of news/notice updates.
© Copyright 2024 - aowlad - All Rights Reserved
magnifier linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram