nulibrary

আরব লীগ সম্পর্কে টীকা লিখ।

Reading Time: 1 minute

ভূমিকা : আরব রাষ্ট্রগুলোর সংহতিমূলক সংগঠন হলো আরব লীগ। আরব লীগের জন্ম কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার ভিত্তিতে নয়, বরং বহু বছরের উপনিবেশ হিসেবে শোষিত হওয়ার পর একটি স্বাধীনতার জন্য তাদের প্রচেষ্টার ফল ছিল আরব লীগ ।

আরব লীগ : ঊনবিংশ শতাব্দীতে ও সমানীয় শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মধ্য দিয়ে আরব জাতীয়তাবাদের জন্ম হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল আরব অঞ্চলসমূহের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন আরব রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তুরস্ক জার্মানির পক্ষাবলম্বন করলে আরবরা মিত্রশক্তির পক্ষে যোগ দেয়। তুর্কি শাসন থেকে মুক্ত হয়ে একটি বৃহত্তর আরব রাজ্য গঠনের উদ্দেশ্যে তারা তুরষ্কের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং মিত্রশক্তির পক্ষে অংশগ্রহণ করে। কিন্তু যুদ্ধে জয়লাভ করলেও যুদ্ধ পরবর্তী শান্তি সম্মেলনে আবরদের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি দুই বিশ্বযুদ্ধের অন্তর্বর্তীকালে প্যান আরব সম্মেলন এবং ফিলিস্তিন সমস্যাকে কেন্দ্র করে আরব ঐক্যের চেতনা জাগ্রত ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে একটি আঞ্চলিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার সহযোগিতা করে আবরদের বন্ধুত্ব অর্জনের মাধ্যমে এই অঞ্চলে অক্ষশক্তির তৎপরতাকে মোকাবিলা করাই ছিল ব্রিটেনের মূল উদ্দেশ্য দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথক পৃথকভাবে আরব রাষ্ট্রগুলো স্বাধীনতা লাভ করল। তবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুপ্ত বাসনা তখনও পা তাদের মন থেকে মুছে যায়নি। সাম্রাজ্যবাদী দেশ ব্রিটেন তার ভাগ কর শাসন কর নীতি পরিত্যাগ করে আরব ঐক্যের প্রয়াসকে স্বাগত জানাল। কেননা উপনিবেশগুলো আগের মতো লাভজনক ছিল না। বরং উপনিবেশের জনগণের শিক্ষা- সাংস্কৃতিক উন্নয়নের প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হতো। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালে ব্রিটেন বুঝতে পেরেছিল যে, এ উপনিবেশগুলো যুদ্ধের পর আর ধরে রাখা যাবে না। ম্যান্ডেটভুক্ত অঞ্চলগুলোর ক্ষেত্রেও এই কথা সমভাবে প্রযোজ্য। তাই ব্রিটেন অঞ্চলগুলোকে একটি সংস্থার অধীনে ঐক্যবদ্ধ করে তাদের কৃতজ্ঞতা অর্জন এবং এর মাধ্যমে পুরাতন সাম্রাজ্যবাদী স্বার্থ বজায় রাখতে চেয়েছিল। অবশেষে আরবদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রচেষ্টা ও ব্রিটেনের সহায়তায় সাতটি আরবদেশের সমন্বয়ে আরব লীগের জন্ম হয়। ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ এই সংগঠনের সৃষ্টি হয়। প্রতিষ্ঠাকালে এর সদস্য সংখ্যা ছিল ৭টি। কিন্তু বর্তমানে এই সংখ্যা ২২-এ দাঁড়িয়েছে। ১৯৭৮ সালে মিসর ইসরায়েলের শান্তি চুক্তির পরিপ্রেক্ষিতে আরব লীগ বিভক্ত হয়ে পড়ে। মিসর আরব লীগ ত্যাগ করে এবং এর সদর দপ্তর কায়রো থেকে তিউনেসিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে পুনরায় মিশর আরব লীগে যোগদান করে এবং এর সদর দপ্তর কায়রোতে স্থানান্তরিত হয় ।

উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনা থেকে এটা বুঝা যায় যে, ১৯৪৫ সালের ২২ মার্চ এই সংগঠনের সৃষ্টি হয়। আরব লীগ হলো আরব রাষ্ট্রগুলোর সংহতিমূলক সংগঠন। আরব রাষ্ট্রসমূহের সাধারণ কল্যাণ সাধন, মর্যাদা বৃদ্ধি, ভবিষ্যৎ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও রাষ্ট্রসমূহের আশা-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন আরব লীগের উদ্দেশ্য। আরব লীগের সংবিধানে যে ৩টি সংযুক্তি রয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ।

The National University of Bangladesh's all-books and notice portal, nulibrary.com, offers all different sorts of news/notice updates.
© Copyright 2024 - aowlad - All Rights Reserved
magnifier linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram