nulibrary

মুসলিম ব্রাদারহুড সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত টীকা লিখ ।

Reading Time: 1 minute

ভূমিকা : মিশারসহ মুসলিম বিশ্বের ইতিহাসে মুসলিম ব্রাদারহুড একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচ্য বিষয় ১৯২৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে তারা মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় প্রতিটি দেশে তাদের শক্তিশালী সংগঠন প্রতিষ্ঠায় সাফল্য অর্জন করে। মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম উম্মাহর অন্যান্য দেশে ও মুসলিম ব্রাদারহুডের গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। মুসলিম মুসলিম ব্রাদারহুড একটি রক্ষণশীল ইসলামি রাজনৈতিক দল যারা রাষ্ট্রপরিচালনায় আল কুরআনের বিধান বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিম্নে প্রশ্নালোকে মুসলিম ব্রাহারহুডের পরিচয় আলোচনা করা হলো :

মুসলিম ব্রাদারহুড : বর্তমান মুসলিম বিশ্বের সর্ববৃহৎ দল হলো মুসলিম ব্রাদারহুড মিশরে প্রতিষ্ঠিত এই দলটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন স্কুল শিক্ষক ইমাম হাসান আল বান্না যাকে বর্তমানে মুর্শিদ-আল-আম বলা হয়। মুসলিম ব্রাদারহুড সৌদি আরবের আব্দুল ওয়াহাবের ওয়াহাবী আন্দোলন ও জামাল উদ্দিন | আফগানীর আরব জাতীয়তাবাদী আন্দোলন দ্বারা প্রভাবিত ছিল। ইমাম হাসান আল বান্না মিশরের ইসমাইলিয়া শহরে প্রথম এই | দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি তার নীতি আদর্শ জনগণের সামনে তুলে ধরার জন্য কায়রো ও ইসমাইলিয়ার বিভিন্ন কফিশপে উন্মুক্ত বক্তৃতা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করতেন। তার সুসমন্বিত প্রচারণার ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই মুসলিম ব্রাদারহুড বা ইখওয়ানুল মুসলিমিন দারুন জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। পরবর্তীতে একটি শক্তিশালী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মুসলিম ব্রাদারহুড তার উদ্দেশ্য ও আদর্শ আরো বিস্তৃত পরিসরে জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য বিভিন্ন সান্ধ্য স্কুল, ইসলামের উপর উন্মুক্ত বক্তৃতা, বিভিন্ন জনহিতকর কাজ দাতব্য হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, মহিলাদের স্বার্থরক্ষায় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠা করে। তাছাড়া সংগঠন থেকে গরিব ও অসহায় জনগণের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য ও ঔষধ সরবরাহেরও ব্যবস্থা করা হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মিশরে আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে মুসলিম ব্রাদারহুড ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এমনকি মিশরের প্রতি ৩ জনের ২ জনই এ সময় ব্রাদারহুড় সমর্থক হয়ে যায়, রাজনীতিতে তারা সরকারের শক্তিশালী প্রতিপক্ষ হয়ে উঠলে ১৯৪৮ সালে ইমাম হাসান আল বান্নাকে নিজ বাড়ির সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরবর্তী প্রধান সাইয়েদ কুতুবসহ প্রচুর শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ গুপ্তহত্যা ও বিচারিক হত্যার শিকার হন। সর্বশেষ দলটি মিশরের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসেন। কিন্তু ১ বছরের মাথায় সেনাবাহিনীর ক্যুর ফলে ক্ষমতাচ্যুত হন এবং প্রধানমন্ত্রী মুরসিসহ বহু শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিচারাধীন অবস্থায় শাহাদাতবরণ করেন ।

উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, মুসলিম ব্রাদারহুড মিশরের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক দল, দাতব্য সামাজিক সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে খুব দ্রুত তারা জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সরকারের ব্যাপক দমনপীড়নের ফলে বিভিন্ন সময় এই দলের বহু শীর্ষ নেতৃবৃন্দ গুপ্তহত্যা ও বিচারিক হত্যার শিকার হয়েছেন।

The National University of Bangladesh's all-books and notice portal, nulibrary.com, offers all different sorts of news/notice updates.
© Copyright 2024 - aowlad - All Rights Reserved
magnifier linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram